নামাজের কিছু ছোট আমল
নামাজের কিছু দরকারি দোয়া
নামাজের মধ্যে কিছু ছোট ছোট আমল আছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা অবহেলা করে এই গুরুত্বপূর্ণ আমলকে ছেড়ে দিচ্ছি।আমরা প্রতিনিয়ত নামাজ পড়ি। কিন্তু এই নামাজের প্রতি আরেকটু যত্নশীল হলে নামাজ আমাদের নাজাতের কারণ হবে।
ছোট আমল গুলো
১. সুন্নতি পোশাক পড়া
আমরা অনেকে নামাজ পড়ি কিন্তু আমাদের পোশাক ঠিক থাকে না। টুপি ছাড়া নামাজ পড়া মাকরূহ, হাফ হাতা কাপড় পড়ে নামাজ পড়া মাকরুহ। তাই আমরা চেষ্টা করব টুপি সহ পাঞ্জাবি সহ নামাজ পড়ার জন্য। কারণ নামাজ মাকরুহ হলে তো সেখানে কোন সওয়াব আশা করা যায় না। কষ্ট করে নামাজ আদায় করলাম অথচ কোন লাভ হলো না তাহলে ব্যাপারটি অন্যরকম হলো।
২. রুকু থেকে ওঠার পর দোয়া পড়া
রুকু থেকে ওঠার পর আমরা সবাই তাসবিহ পাঠ করি বা দোয়া পরি। এই দোয়াটা যদি আরেকটু বাড়িয়ে পরি তাহলে আমাদের জন্য আরও একটু লাভ হয়।
ইমাম যখন বলে سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَة তখন আমরা শুধু বলি اَللّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْد- বা رَبَّنَا لَكَ الْحَمْد- কিন্তু আমরা এখানে আরেকটু বাড়িয়ে বলতে পারি رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْداً كَثيراً طَيِّباً مُبارَكاً فِيهِ উচ্চারণ : রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু, হামদান কাছিরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফিহি।অর্থ : “হে আমাদের প্রতিপালক! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা।” (বুখারি)
৩. দুই সিজদার মাঝখানের দোয়া
দোয়া কবুলের একটি অন্যতম জায়গা হচ্ছে সিজদা। তবে দুই সিজদার মাঝখানে দোয়া কবুলের সময়। তাই এক সিজদার পর তাড়াতাড়ি আরেক সিজদায় না গিয়ে স্থির ভাবে বসে একটি সুন্দর দোয়া পাঠ করা যায়। দোয়াটি হল
اَللّهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগফিরলি, ওয়ারহামনি, ওয়াহদিনি, ওয়া আফিনি, ওয়ারযুকনি। (মুসলিম, মিশকাত)অর্থ : হে আল্লাহ আপনি আমাকে মাফ করুন, আমাকে রহমত করুন, আমাকে হেদায়েত দান করুন, আমাকে শান্তি দান করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন।
এই একটি দোয়ার মধ্যে আমাদের সকল চাহিদা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আমাদের এই দোয়া কবুল করলে আমাদের সকল চাহিদা পূর্ণ হবে। এই দোয়ার মধ্যে ক্ষমা, রহমত, হেদায়েত, শান্তি ও রিজিক চাওয়া হয়েছে।
নামাজ শেষে কিছু দোয়া পাঠ করার অত্যন্ত জরুরী।
নামাজ শেষে পাঠ করার মতন কিছু দোয়া
১.হজরত সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ শেষে তিনবার ইসতেগফার (আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে) اَسْتَغْفِرُ الله পড়তেন। তারপর বলতেন-
اللهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আংতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া জাল ঝালালি ওয়াল ইকরাম।’
দোয়াটির অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি শান্তির প্রতীক। তুমিই শান্তির উৎস এবং শান্তির ধারা তোমার কাছ থেকেই প্রবাহিত। তুমি বরকতময় হে মহত্ব ও সম্মানের অধিকারী।’ (মুসলিম, মিশকাত)।
আমরা যদি অর্থ বুঝে বুঝে দোয়া গুলো পড়ি তাহলে আমাদের মনের মধ্যে শান্তি লাগবে এবং দোয়াগুলো পাঠ করে আমল করে আমাদের ভালো লাগবে। আরো একটি সুন্দর দোয়া হচ্ছে
২. নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাস প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর সালাম ফিরিয়ে বলতেন-
لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكَ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْر
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহু হামদ, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
দোয়াটির অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই। রাজত্বও তার। প্রশংসা শুধু তারই। তিনিই সব কিছুর সর্বশক্তিমান। (বুখারি ও মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সহি ভাবে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন। বিষয়টি শেয়ার করে আপনিও সওয়াবের অংশীদার হতে পারেন।
💗Thank you watching this💗
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন