Header Ads

Header ADS

ওযু করার সঠিক ও সুন্নাহ পদ্ধতি

ওযু করার সঠিক ও সুন্নাহ পদ্ধতি

আমরা দৈনন্দিন বিভিন্ন ইবাদত করার জন্য ওযু করে থাকি। সালাত আদায় কিংবা কুরআন তিলাওয়াত ছাড়াও আরো বিভিন্ন ইবাদতের জন্য ওযু করে থাকি। পেশাব পায়খানার পরেও আমরা অজু করে থাকি। ওযুর মাধ্যমে আমরা পাক পবিত্র হই। কিন্তু আমাদের সেই অজু কিংবা ওযু করার পদ্ধতি যদি সঠিক না হয় তাহলে আমাদের সকল ইবাদতের মধ্যে কিছুটা ঝামেলা থেকে যায়। অজু হচ্ছে নামাজের চাবি। এখন সে ওযু যদি আমাদের সঠিকভাবে না হয় তাহলে বিষয়টা কেমন হয়। এখানে ওযুর সঠিক ও সুন্নাহ  পদ্ধতি আলোচনা করা হলো।

ওযু করার সঠিক ও সুন্নাহ পদ্ধতি

অজুর ফরজ

অজুর ভেতর চার জিনিস ফরজ

১. কপালের চুলের গোড়া থেকে থুতনির নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অন্য কানের লতি পর্যন্ত গোটা মুখ ধৌত করা।
২. উভয় হাত কনুইসহ ধৌত করা।
৩. মাথার চার ভাগের একভাগ মসেহ করা।
৪. উভয় পা টাখনুসহ ধৌত করা।
অজুর সুন্নত
১. নিয়ত করা।
২. অজুর শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পাঠ করা।
৩. উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত দেখা।
৪. মেসওয়াক করা। মেসওয়াক না থাকলে ডান হাতের শাহাদত আঙুল দিয়ে মেসওয়াকের কাজ সেরে নেওয়া।
৫. তিন বার কুলি করা।
৩. তিন বার নাকে পানি দেয়।
৭. রোজাদার না হলে ভালোভাবে কুলি করা এবং নাকে পানি দেওয়া।
৮. ঘন পাড়ি হলে হাত কোন করে দড়ির নিচ খেলাল করা।
৯. এক আঙ্গুলকে অন্য আঙুলের মাঝে প্রবেশ করিয়ে খেলাল করা।
 ১০. প্রত্যেক অঙ্গ তিন বার করে ধৌত করা।
১১. গোটা মাথা একবার মাসেহ করা।
১২. দুনো কান মাসেহ করা।
১৩. প্রত্যেক অঙ্গ ধোয়ার তারতিব রক্ষা করে ধৌত করা।
১৪. এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা। ১৫. শুরু ও শেষের তারতিব রক্ষা করা।
১৬. ডান দিক এবং আঙুলের মাথা থেকে আরম্ভ করা।
১৭. চেহেরা ধৌত করার বেলায় কপাল দ্বারা আরম্ভ করা।
১৮. ঘাড় মাসেহ করা।
অজুর আদব ও তরিকা
১. অজুর পূর্বে পেশাব-পায়খানার প্রয়োজন হলে সেরে নেওয়া। ঘুম থেকে ওঠা হলে প্রথমে হাত ধৌত করা। ঘুম থেকে ওঠার পর ওযু-ইস্তেঞ্জার পূর্বে হাত ধৌত করা সুন্নত। আর যদি হাতে নাপাকি লেগে থাকার আশঙ্কা হয়, তাহলে হাত ধৌত করা ওয়াজিব।
২. পেশাব-পায়খানার জরুরত সেরে বদনায় পানি ভরে নিজের বাম পাশে রাখা। 
৩. উঁচু স্থানে কেবলামুখী হয়ে বসা।
৪. নিয়তের ক্ষেত্রে মনের ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গে মুখেও বলা।
৫. দুনিয়াবি কোনো কথা-বার্তা না বলা।
৬. প্রত্যেক অঙ্গ ধৌত করার সময় হাদিসে বর্ণিত দোয়া পড়া৷
৭. প্রত্যেক অঙ্গ ধৌত করার সময় বিসমিল্লাহ পড়া।
৮. হাতের আঙুলে আংটি, চুড়ি, ঘড়ি, থাকলে নেড়েচেড়ে ধুয়ে নেওয়া। যদি বেশি টাইট হওয়ার কারণে পানি প্রবেশ না করে, তাহলে তা খুলে নিচে পানি পৌঁছানো
৯. ডান হাত দ্বারা কুলি করা এবং নাকে পানি পৌঁছানো।
১০. বাম হাত দিয়ার নাকের ময়লা পরিষ্কার করা।
১১. বাম হতের ছোট আঙুল নাকের ছিদ্রে প্রবেশ করিয়ে পরিষ্কার করা।১২. প্রতিবার কুলি এবং নাকে পানি দেওয়ার জন্য নতুন পানি নেওয়া।১৩. কনিষ্ঠাঙ্গুল কানের ছিদ্রে প্রবেশ করিয়ে কান মাসেহ করা।১৪. বাম হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুল দ্বারা পায়ের অঙ্গুলি খেলাল করা।১৫. মাজুর হলে ওয়াক্ত শুরুর পর করতে হবে।
১৬. অজু শেষে কালিমায়ে শাহাদাতাইন তথা এই দোয়া পড়া :
اشْهَدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَه وَأَشْهَدُ أَنْ مُحَمَّدٌ اعْبُدُ هَوَرَسُولُه
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই; তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই! আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রসুল।
১৭. অজুর পর অবশিষ্ট পানি দাঁড়িয়ে পান করা

মূল লেখক :  শাহ হাকিম মোহাম্মদ আখতার রাহ.
ওযু




আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সহি ভাবে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন। বিষয়টি শেয়ার করে আপনিও সওয়াবের অংশীদার হতে পারেন।
💗Thank you watching this💗

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.