জুমার দিনের করণীয়-Things to do on Friday
জুমার দিন আমাদের অনেক কিছু করার আছে। আমরা ছোট ছোট বিষয়কে গুরুত্ব কম দিয়ে থাকি। তবে এই ছোট ছোট কিছু ভুলের কারণে আমাদের বড় বড় আমল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের উচিৎ ছোট ছোট কাজকে অবহেলা না করা। জুমার দিনে করনীয় কিছু বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা হবে।
যদি কারো গোসল ফরজ হয়ে থাকে তবে প্রথমে তাকে ভালো করে গোসল করতে হবে গোসলের ফরজ সহ। কেউ যদি এমন অবস্থায় গোসলের ফরজ আদায় না করে গোসল করে তবে তার গোসল হবেনা। গোসল ফরজ হলে অবশ্যই গোসলের ফরজ আদায় করতে হবে। পরিষ্কার করে গোসল করতে হবে এবং সাবধান হতে হবে যেন শরীরের সমস্ত জায়গায় পানি পৌছায়।- পরিষ্কার কাপড় পরিধান করা-Wear clean clothes
জুমার দিন পরিষ্কার কাপড় পরিধান করা সুন্নাত। তাই আমাদের নতুন কাপড় থাকলে তা পরিধান করব আর তা যদি না থাকে তবে যার যে কাপড় আছে তা পরিষ্কার করে পরিধান করা।
- সুগন্ধী ব্যবহার করা-Using perfume
জুমার দিন সুগন্ধী ব্যবহার করাও সুন্নাত। যেমন ভাল মানের আতর আছে। রাসুল (সাঃ) খোশবো ব্যবহার করতেন ।
- অপ্রয়োজনীয় কথা না বলা-Don't talk unnecessarily
মসজিদে প্রবেশ করে অপ্রয়োজনীয় কথা না বলা উচিত। মসজিদে প্রবেশ করে সুন্নাত-নফল নামাজ আদায় করে নামাজের কায়দায় বসে থাকতে হবে এবং ইমাম সাহেবের দিক নির্দেশনা মানতে হবে। অপ্রয়োজনী কথা বলা যাবেনা। প্রয়োজনে জিকির করা বা বসে থাকা যেতে পারে। - যেখানে জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই বসা-Sitting where space allows
আমাদের দেশের অনেক জায়গায় একটা প্রচলন আছে যে, বয়সে বড় বা সম্মানী লোক বা ধনী/ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের জন্য আগেই আলাদা জায়গা নির্ধারিত থাকে। এমনও হয় কয়েকজন লোক এসে আগে সামনের জায়গায় বসেছে। হঠাৎ করে বয়সে বড় বা সম্মানী লোক বা ধনী/ক্ষমতাবান ব্যক্তি আসল এমন অবস্থায় ঐ লোককে জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়। এটা মোটেও উচিত নয়। যেখানে জায়গা থাকে , যেখানে জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই বসা উচিত। কাউকে কষ্ট দিয়ে বা কারো কাধের উপর ভর করে বা কাউকে সরিয়ে দিয়ে নিজে বসাটা এক ধরনের অনৈতিক কাজ। এটা পরিহার করা অত্যান্ত জরুরী।
জুমার দিন একটি বিশেষ দিন। এই দিনে রয়েছে অনেক ফজিলত। অন্যান্য দিন থেকে এই দিন আলাদা। এই দিনকে দোয়া কবুলের দিনও বলা হয়। জুমার দিনে এমন একটি সময় রয়েছে যে সময় দোয়া কবুল করা হয়। তাই এইদিনে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত।
জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা আমাদের জন্য খুব জরুরী । রাসূল(সাঃ) এর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করলে তিনি নিজে তাঁর জবাব দেন। রাসুল (সাঃ) এর উপর একবার দরুদ পাঠ করলে পাঠকারীর উপর আল্লাহ ১০ বার রহমত নাজিল করেন। তাই এই ফজিলত র্পূণ দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করতে হয়।
- আগে আগে সকাল সকাল মসজিদে গমন করা-Going to the mosque early in the morning
মসজিদে আগে আগে গেলে তার জন্য আলাদা ফায়দা রয়েছে। জুমার দিনে পাক পবিত্র হয়ে সবার আগে মসজিদে গেলে একটি উট কুরবানীর সওয়াব পাওয়া যায়। তাছাড়াও রয়েছে অনেক ফায়দা। আর আমাদের একটা সামাজিক ব্যাধি হলো উপর একজন মুসলিমকে কষ্ট দিয়ে তার জায়গা দখল করা। এটা আমাদের উচিত নয়। তাই সামনে বসতে হলে আগে মসজিদে গিয়ে আগের সারিতে বসা।
- ইমামের পাশে বসে খুতবাহ শোনা-Sitting next to the Imam and listening to the sermon
জুমার দিনের আরেকটি ফায়দা রয়েছে যার মধ্যে তা হলো ইমামের পাছে বসা এবং খুতবাহ শোনা। জুমার দিন খুতবাহ শোনা ওয়াজিব।
- পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া-Going to the mosque on foot
অনেকে জুমার দিনে হোন্ডা বা গাড়ি নিয়ে আসে । এটা আমাদের বর্জন করতে হবে। আমরা যখন মসজিদে আসি তখন আমরা সেখানে আড্ডা, বা ফ্যাশন করতে আসিনা। হয়ত কারো বাড়ি হতে মসজিদ অনেক দুরে। কিন্তু আমরা যদি পায়ে হেটে মসজিদে আসি তবে আমাদরে প্রত্যেকটা কদমে কদমে সওয়াব লেখা হয়। আমরা যদি হাটার সময় জিকির করতে করতে মসজিদে আসি তবে রাস্তার গাছ ফেরেস্তা আল্লাহর নিকট দোয়া করতে থাকে পাঠকারীর জন্য।
- ইস্তেগফার পড়া-To apologize
ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা একটি উত্তম পথ নাজাতের জন্য। ক্ষমা ব্যতিত কারো নাজাত পাওয়া সম্ভব নয়। আল্লাহ তা’লা যদি হিসাব চান আর ক্ষমা না করে কঠোর হোন তবে কারো সাধ্য নেই যে হিসাব দিয়ে পার পাবে। তাই আমাদের সব সময় আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। আর জুমার দিন ফজিলতের দিন। জুমার দিনে আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে আল্লাহ তালা তা দিয়ে থাকে। আর বান্দা হিসেবে তার মনিবের নিকট থেকে ভূলের ক্ষমা পাওয়া, নাফরমানী, বেঈমানীর ক্ষমা পাওয়া একটি বড় পাওয়া। তাই আমাদের সব সময় পরম করুনাময় আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রর্থনা করা উচিত। তাছাড়া কোন রাস্তা নেই।
জুমার দিনের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানতে
Thank you for watching this.👍
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন