ফিরে পাওয়া আনন্দ
ফিরে পাওয়া আনন্দ
রায়াতের বয়স ৮ বছর, সে একটি গ্রামের ছেলে, তার বাবা একজন কৃষক ও মা গৃহিণী, বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে রায়াত। গ্রামের ছেলে বলে কথা, তাই তার বাবার সব কাজে সে অংশগ্রহণ করে। মানে তার বাবার সাথে থাকে। তখন ছিল রমজান মাস। জমিতে ধান গাছের বীজ বপন করা হয়েছে। সেখানে নিয়মিত পানি দিতে হয়। রায়াতের বাবা রায়াতকে নিয়ে সেখানে পানি দিতে যায়। এই চারা ধানে তখন পানি দিত সেচ দিয়ে। খাবার পাত্র বা অন্য কোন পাত্র দিয়ে সেচ দিত। সেচ দিচ্ছিল রায়াতের বাবা। এই ফাকে রায়াত খেলতে খেলতে ঐ স্থান ত্যাগ করে। রায়াতের বাবা কাজ শেষ করে বাড়ি আসে, এসে দেখে রায়াত বাড়ি আসেনি। অনেক খুঁজাখুঁজির পরও রায়াতকে পাওয়া গেলনা। রায়াতের বাবা মা অস্থির হয়ে কান্না শুরু করে। চারা ধান গাছের পাশেই ছিল একটা পুকুর, সেখান থেকেই সেচ দিতে হয়। রায়াতের বাবা মনে করছে রায়াত সেই পুকুরে তলিয়ে গেছে, তাই পুকুরে নিচ অবদি গিয়ে খুঁজাখুঁজি শুরু করে, গ্রামের সব লোক এসে জমে গেছে পুকুরে, সবাই ভাবছে পুকুরে তলিয়ে রায়াত মারা গেছে। সবাই খুব কষ্ট অনুভব করতেছিল। রায়াতের মা পুকুরের পাড়ে গড়াগড়ি করে কান্না করতেছিল। আর রায়াতের বাবা পুকুরে খুঁজতেছে আর কান্না করতেছে, রায়াতের চাচাত বোন রিপা বাড়ি থেকে উঁকি দিয়ে দেখতেছিল আর কান্না করতেছিল, পেছন থেকে কে যেন ডাক দিয়ে বলল আপা, অনে কি হয়ছেরে, এতো মানুষ ক্যা?
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন